বছরের শেষ সপ্তাহেও সবজির দামে স্বস্তি নেই সাধারণ মানুষের। নিত্যবাজার করতে গিয়ে এখনও পকেটে টান পড়ছে। বাজারে ফুলকপি, বাঁধাকপি সহ একাধিক সবজির দাম তুলনামূলকভাবে বেশি—এ কথা স্বীকার করছেন এগ্রি মার্কেটিং দপ্তরের হাওড়া শাখার আধিকারিকরাও। তাঁদের দাবি, ভিনরাজ্য থেকে সবজি এনে একশ্রেণীর ফোঁড়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাওড়া শহরের বিভিন্ন বাজারে নজরদারি শুরু করেছে এগ্রি মার্কেটিং দপ্তর।
শুধু শহরাঞ্চলেই নয়, হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার বাজারগুলিতেও ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের মতে, মাঝখানের ফোঁড়েদের দৌরাত্ম্য কমাতে সরবরাহ ব্যবস্থার উপর কড়া নজরদারি জরুরি। বাজারে কোথা থেকে সবজি আসছে, কী দামে কেনাবেচা হচ্ছে—সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চলতি বছরে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হওয়ায় গ্রামাঞ্চলে চাষবাসে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে হাওড়ার আমতা এক ও দুই নম্বর ব্লক, উদয়নারায়ণপুর, বাগনান এক ও দুই নম্বর ব্লক সহ বিস্তীর্ণ সবজি উৎপাদনকারী এলাকায়। ডিভিসি থেকে জল ছাড়া এবং অতিবৃষ্টির জেরে বহু জমিতে ফসল নষ্ট হয়েছে। যে সব অঞ্চল এতদিন জেলার সবজির চাহিদার বড় অংশ মেটাত, সেখানেই এবার উৎপাদন কমে গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিকেই সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে অসাধু মধ্যস্বত্বভোগীরা—এমনই অভিযোগ প্রশাসনের। চাষের ক্ষতির সুযোগ নিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে দাবি। ফলে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে এবং বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রশাসনিক নজরদারি আরও জোরদার করার পথে হাঁটছে রাজ্য।


